Wednesday, January 22, 2025
Google search engine
Homeঅপরাধ‘তাকে আমি একতরফা ভালোবেসে ফেলেছি’ এখন কী করি

‘তাকে আমি একতরফা ভালোবেসে ফেলেছি’ এখন কী করি

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনকে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, সরকারি অন্যান্য সংস্থা, হোটেল-রিসোর্ট-জাহাজ-ট্রলার ব্যবসায়ী এবং পর্যটকেরা মিলে যেভাবে মেরে ফেলার আয়োজন চলছে, তাতে লোভী ও অপরিণামদর্শী কৃষকের সোনার ডিম পাড়া হাঁসের লোকগল্পটি সবার আগে মনে আসে। অথচ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ রক্ষায় আইন, বিধিবিধান, নির্দেশনা, প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ সবই আছে।

প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হওয়ায় সেন্ট মার্টিনের পানি, মাটি, বায়ু বা প্রাণীর ক্ষতি করে, এমন কোনো কাজ সেখানে করা যাবে না। এ কারণে সেখানে কোনো স্থাপনা নির্মাণে ছাড়পত্র দেয় না পরিবেশ অধিদপ্তর। অথচ বহুতল ও একতলা মিলিয়ে সেখানে হোটেল, রিসোর্ট, কটেজ ও রেস্তোরাঁর সংখ্যা ২৩০-এর বেশি। এর মধ্যে গত দুই বছরে তৈরি হয়েছে অন্তত ১৩০টি। এখন নির্মাণকাজ চলছে ৩০টির বেশি রিসোর্ট ও কটেজের।

সবচেয়ে দুঃখজনক বাস্তবতা হলো ছাড়পত্র ছাড়াই সরকারি সংস্থা দ্বীপটিতে বাংলো, অফিসার্স মেসসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করেছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ যে স্থাপনা করেছে, সেখানে সরকারি ও পুলিশের কর্মকর্তারা গিয়ে থাকেন। পুলিশেরটি ভাড়াও দেওয়া হয়। যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের দ্বীপটি দেখভালের দায়িত্ব, তারাই যদি আইন ও বিধিবিধানকে এভাবে বুড়ো আঙুল দেখায়, তাহলে অন্যরা কী করছে, সেটা বলা বাহুল্য।

অবাধে এভাবে পর্যটনের জন্য ছেড়ে দেওয়ায় দ্বীপটির কতটা সর্বনাশ হয়েছে, তা দেশে-বিদেশের নানা গবেষণায় উঠে এসেছে। ১৯৮০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩৮ বছরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রবাল প্রজাতি ১৪১টি থেকে কমে ৪০টিতে নেমেছে। বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা সাড়ে চার বর্গকিলোমিটার থেকে কমে নেমেছে তিন বর্গকিলোমিটারে। আন্তর্জাতিক ওশান সায়েন্স জার্নালে ২০২০ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, ২০৪৫ সালের মধ্যে দ্বীপটি প্রবালশূন্য হয়ে যাবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments