মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সাক্ষী না আসায় নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) শাম্মী আখতারের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ করার কথা ছিল। সাক্ষী না আসায় আদালত আগামী ১০ মে সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে মো. শাওন নামের এক সাক্ষী আদালতে হাজির হলেও তিনি আদালতকে জানিয়েছিলেন, ওই ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। পরে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ওই সাক্ষীকে ‘বৈরী’ ঘোষণা করেছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মাদক মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নূর হোসেনকে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে আনা হয়। সাক্ষী না আসায় কারাগার থেকে নূর হোসেনকে আদালতে তোলা হয়নি। ১০ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। ফলে নূর হোসেন আবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হবে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী খোকন সাহা প্রথম আলোকে বলেন, মাদক মামলায় নূর হোসেনের দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে সব সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালত সমন জারি করেছিলেন। সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ থাকলেও সাক্ষী না আসায় আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
২০১৪ সালের ২৯ মে সিদ্ধিরগঞ্জে নূর হোসেনের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।
এ দিকে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর প্রথমে ছয়জন ও আরও কয়েক দিন পর আরেকজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই অপহরণ ও হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব্যাহতি) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর (অব্যাহতি) আরিফ হোসেন ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব্যাহতি) এম এম রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এর পর থেকে নূর হোসেন কারাবন্দী রয়েছেন।